Posts

সম্পাদকীয়

Image
 সম্পাদকীয় এভাবেই অনেকদিন কাটানো গেলো । কেটে গেছে প্রায় করোনা পরিস্থিতি । নিউ-নরম্যাল । আপনার আমার মধ্যে অনেকটাই দূরত্ব বেড়েছে । আপনি এখন অনেক পরিণত । কোথাও কোথাও সামান্য আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে দেহলিজ প্রায় চলে এলো ।  দেহলিজ, একটু দেরীতে এলো, তবে দূরস্ত এলো । নৈকট্য নিয়ে যার তেমন অহংকার নেই । মুকুলে ও পাখনায় কেটে ফেলা হয়েছে উদ্যান । নিকানো হয়েছে উঠান । বঙ্গভূমির আর একটি টগর আর মাতৃভাষার আর একটি অমলতাস নিয়ে সেজে উঠেছে রাজধানী ।  সম্পাদকীয় লেখা হবে, সেই রকম কথা ছিলো না । বরং একটা পুরানো সম্পাদকীয় পড়ে নেওয়া যাক । দেহ্‌লিজের দশম সংখ্যা প্রকাশ হলো । যতটা না ছিলো গুটি গুটি পা, নিন্দুকের চোখে বন্দুক রেখে ততটাই রুখে দাঁড়ায় বারুদবরণ আরবল্লি রিজ । ওখানে গ্রীষ্ম, ওখানে বর্ষা । ওখানে সাতচল্লিশ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড । তবুও পত্রে পত্রে সবুজের প্রজ্বলিত আভা, কণ্টকময় বৃক্ষের রুক্ষ প্রশাখায় নীড় বাঁধে তবুও বিহঙ্গ - সযত্নে ডিম পাড়ে , যারা নিজেরাই কোন একসময় ঘুমন্ত ছিলো উক্ত ডিমের ভিতরে । অভিভাবকহীন বেড়ে ওঠা এই সাহিত্যপত্র ।  মালিকানাহীন বঞ্জর পানিপথে যখন যমুনা ছুটেছে একলা, কোন আফগানী শেরশাহ এইসব বৃক্ষের গায়ে

পীযূষকান্তি বিশ্বাস

Image
হৃত পীযূষকান্তি বিশ্বাস হৃত-১ পা থেকে পাউরুটি হয়ে ওঠা আর মনন থেকে মধু  শুধু তুই জানিস সেই স্কোয়ারকাট সবুজ চিরে ছুটে যাওয়া লাল চেরি এই কোথাও বাউন্ডারি হলো, কোথাও যেন ছক্কা তারপর এতোটা বছর কেটে গেলো অবলুপ্তির কোথাও কেটে গেছে সংযোগ কোথাও কেটে গেছে মালতী কোথাও কেটে গেছে অঞ্জন । হৃত-২ পাপিয়া, তুই জানতিস ? সংযোগ মানে কি চৈত্রের পুকুরে নড়া ওঠা ডাল  প্রচ্ছদ ছিঁড়ে উঁকি মারা স্বপন-কুমার কানাচে এখনো আমড়া গাছ দুপুর জানলায়  ইতিহাস পাতার ভাঁজে লুকিয়ে এখনো কিশোরমুখ পোস্টকার্ডে এঁকে রাখা সামান্তা ফক্স বিকেল মানে জানালায় উঁকি মারা  কি যেন নাম ? তুই জানতিস শুধু মেরিগোল্ড তার পাতা ঈষৎ কালচে তার পাপড়ি ঈষৎ হলুদ এক ক্লাস ফাঁকি স্কুল এক ক্লাসমেট  নাজুক থেকে নাজুক এই পরিচয় ফুল বা মালতী  কেউ কারো নাম নয় । হৃত-৩ খিদে পেটে বিস্কুটের সংজ্ঞা দেওয়া সে ছিলো নাবালকের কাজ তুই সে সব বুঝতে পারিস নি, পরিমল আমিও না  তুই কি ঠিক জানিস ববি কেন গাছে গলায় দড়ি দিয়েছিলো ?  নিস্তব্ধ পুকুর পাড়ের সেই আমগাছটায় হাও হাও কেঁদেছিল পিতা সম্বল দাশ ! আমরা কেউ বড় হতে পারিনি সংজ্ঞা দিতে পারিনি না বালকের, না বালিকার এখনো আমাদের খিদে পায় শরীরে

নীলিমা দেব

Image
স্তন্য  নীলিমা দেব যেভাবে ছড়াচ্ছো       প্রস্তুত আরাম কলম ছুঁয়ে ছুঁয়ে একেকটা মুখ   রেকর্ডেড বেড়াল  সেই যে খুলছে                 খুলছে                         আবহ থেকে উফফ্   পাখির থাবায় থামানো প্রকৃতি রাস্তামাফিক  দন্তন্য  ভাষা  নড়ে  চাঁদ পড়ে     কোর্স জুড়ে অদম্য সহজ আড়াল খুঁড়ে খুঁড়ে দিব্যি    সূর্য লুফতে লুফতে  অস্ত যায় বেড়াল  ঘুমের জায়গায় স্তন  ভোরের জায়গায় কাটাকুটি            দিন তুলতে পারছে না কিছুতেই ……    এখনো নীল   অবশেষে নীরব ফেলতে ফেলতে ফুলস্টপ   আপেল ও কোলাহল পাশাপাশি  জল ছোঁয়   ঝিকমিক করা শব্দ কোনটা নাবিক কোনটা পৃথিবীর নয়-ই    এক নিঃশ্বাসের ভেতর আধটুকরো ঘর ও দাঁড়িয়ে থাকা নদী   আপেলের সমান লাল    ভেবে রাখা আপেল জলের ন্যাগেটিভ   পাখির মতো গোল নদী আমাকে শুরু করে বিলীয়মান  শব্দ আবছায়া ধরে এখনো নীল …… 

নিরুপম চক্রবর্তী

Image
পাঠকামি  নিরুপম চক্রবর্তী বহুদিন পরে আজ শীতের দুপুর । দিল্লির দূর দূরান্ত থেকে বিক্রিত হয়ে আসা মরলার সঙ্গে মটর শাকের অনবদ্য ব্যঞ্জন সহকারে কিছুটা অবসর কাটিয়ে বসা গেলো একগুচ্ছ কবিতার সঙ্গে । এই তো বকোদর, জীবনের এই তো আনন্দ, সপ্তাহান্তে একটুকরো রোদের জন্য এতোগুলো উইকডেজ রাতকালি করা ।  ঈষৎ রঙিন করে তোলা মুহূর্তগুলির অভিপ্রায়ে প্রবাসে বাংলা যাপন । কবিবন্ধুদের এই সামান্য আলাপ, কবিতার পাঠকামি ।  নিজস্ব পাঠ ও অনুচ্চারিত কিছু আনন্দের ছন্দলিপি ।  আজ, পাঠ হবে, কবি নিরুপম চক্রবর্তীর 'ইষৎ রঙিন' । গ্রন্থটি, সাময়িক কালে প্রকাশিত, ডাকযোগে সংগ্রহ করা । প্রকাশক সৃষ্টিসুখ ।  "বিচ্ছিন্ন বলতে চেয়ে ক৯প্ত বলে বিলুপ্ত শব্দটি ছিন্নমস্তা ভাষা আজ ওষ্ঠে তাঁর ধরে রেখে দিল । হে ভাষা, জীবন্ত হও,  এ শ্মশানে শব সাধনার প্রমত্ত ধবনিটি জালো তোমার বিচ্ছিন্ন অঙ্গ প্রতিটি নরকে দ্যাখো দোকান খুলে কীরকম বেঁচেবর্তে আছে । " এই বলে ।। ক৯প্ত ।।  কবিতাটি শুরু হয় । ডবল দাঁড়ি দিয়ে নামকরণ । রেনেসাঁস পর্বের কবিতা । বলা যায়, এর আগে এই কবিকে আমি তেমন পড়িনি ।ব্যক্তিগত পরিচয়ও নেই।  ফেসবুকে, কিছু তার ভিলানেল পড়েছি । কবিতা

অতনু ভট্টাচার্য

Image
নোরা ফাতেহি   অতনু ভট্টাচার্য   বিন্দু থেকে বড় হয় বিসর্গে সে দুটো নোরা নাচছে বলিউডে সঙ্গে যদি শুতো ! মন বলছে— মনে মনে, রেঙে উঠছে কান বুঝে নিও মানসিক সেই অভিধান পরী,পণ্য দ্বন্দ্ব তাই আয়না ভাঙা পদ্য  পদাণুরা খুব বোঝে— জেনো,  অনবদ্য ! ধ্বনি বইছে আধেয়কে— অর্থে গেছে মিশে নোরা নাচছে যৌন ছলা বিষ ঝারছে বিষে ! বাক্যের আধার নয় ভাষা উপাদান নোরা নাচছে, মাথা ঘুরছে, রেঙে উঠছে কান ! অনুজ্ঞার কথা থেকে নৈতিক প্রত্যয় মাধুরীর পরে নোরা— ধামাকা, অন্বয় ! মিথস্ক্রিয়া শুধু নয় অক্ষরের রূপকার,তারও বেশি— তাকি তুমি জানো ? রামানুজ মনে পড়ে— নেই ভেদ, ব্রহ্মই জগত। খাট থেকে পড়ে গেছি, কে ঠেলেছে ? কে ঠেলেছে ? ভাবি— চেয়ে দেখি— শক্তি নেই, ইচ্ছাশক্তি সনির্বন্ধ ঘুম ! কত প্রশ্ন, উত্তরহীন— শূন্যতাই চেয়েছে সৃজন—               নিজেকেই টেনে তুলি, ছুঁড়ে দিই— বাতাসে কোথায় যেন বেজে উঠল মন্দ্র ব্যারিটন !                 তারপর তারপর আর কোনো কথা নেই তারপর শুধু বাতাস বইছে খুলে আর কিছু বলতে পারে না বুকের ভেতর ব্যথাকে সইছে ... # কীভাবে বলবে ভেবেই পায় না মাল্যমালিকা পড়ে আছে ছিঁড়ে শোকের পাথরে চাপা শব্দেরা… কেই বা দেখবে তার বুক চিরে !  # তা

সুতপা ঘোষ দস্তিদার

Image
আত্মঘাতী সুতপা ঘোষ দস্তিদার (১) পৃথিবীর পুরোনো বাসিন্দারা নির্বিবাদী নিষ্পাপ, ঠিকানা হারাচ্ছে তাদের ক্রমে – আমি নগরী বিভঙ্গে মজে ভাজ করে বুক পকেটে বেদনা যত সৃষ্টিজাত চেয়ে চেয়ে দেখি তাই আড়চোখে পৃথিবীর পুরোনো বাসিন্দারা ঠিকানা হারাচ্ছে তাদের ক্রমে। প্রাকজ্যোতিষ ফুলেরাও এ সময়ে বেমানান বড় উচ্চাকিত বর্ণসমাহারে, আলোকশূন্য জনপদ চাঁদ হাতড়ে খুঁজে ফেরে তার অস্তিত্বের মানে। বিন্দু জমে সিন্ধু ময়লা জমে পাহাড়; দুঃখ জমে লাভা হবে কবে? বিসুভিয়াস ফের পোড়াবে নগরী দাউ দাউ জ্বালাবে আমাকে? (২) প্রগতি মেরেছে তাড়া ডেলি পাল্টে দিক পাল্টে অতএব শুরু হয় ছোটা – দিশাহীন থমকাই পথের ধারে চলকানো মোহ মেখে তরুণী মন ‘আয় আয়’ ডাকে – বিজ্ঞাপন নগরী আলোয় ভাসলে দারিদ্র্য জ্বলজ্বল করে উড়ালপুলের নীচে, খাদারে, ফুটপাতে – কোন দিকে যাওয়া যায় – নেমে যাই দ্বৈপায়ণে— জল গায়ে মাখে না কিছুই – এটাই যা রক্ষে, ঝড় এসে বাজী খোলে স্বীকার করবো চ্যালেঞ্জ মরি অথবা বাঁচি ওলোট পালোট কিছু তো হবে। স্খলন (১) হাঁ করে বসে লোভ রাস্তার বাঁকে – গহ্বর দেখেনি জন্মে, তাই হাত ঢোকানো দেখতে দেখতে জলাঞ্জ‌লি সবই ভিটে মাটি হৃদয়তত্ত্ব … মহীরুহ আশা করে বীজ ছড়

डाॅ शशि शर्मा

Image
उम्र स्यानी हो गई  डाॅ शशि शर्मा बहुत स्यानी हो गई है उम्र  खुद को समझकर  वक़्त को स्वीकारते हुए  हालातों से समझौता  और शिकायतों से परहेज करने लगी है  शब्दों और बोलों पर कड़ी नजर है इसकी बहुत कुछ देखा अनदेखा  और बहुत कुछ सुना  अनसुना करना सीख गई है चलते हुए आसपास  दीवारों-दरवाजों का सहारा लेते हुए हल्का करती रहती है अलमारी-संदूकों का बोझ और बंद आंखों में सहेजती रहती है वक़्त की कतरनें निभाती रहती है यादों से यारी क्योंकि उम्र अब  बहुत स्यानी हो गई है । सांझ भीगती है आंखें जब किसी बुजुर्ग की घर की दीवारें  सीलने लगतीं हैं। वक्त    वक्त के पास  कहां है वक्त इतना कि वह बार-बार  ज़िन्दगी को वक्त देता रहे। विडम्बना   दुश्मनों पर तो नजर  रही हरदम पर अपनों पर ही चूक गई  वर्ना क्या मुमकिन था कि दरवाज़ा खटखटाते रहे अपनों का और आहटें गैरों से आतीं रहीं । शवों के बाजार में   बंद कमरों की  खिड़की में अचानक ठिठककर ठहरी ज़िन्दगी  देखती रही बेभाव खर्च होते लोग शवों के बाजार में। किरच   गिलास तो  मैखाने में टूटा था किरचें  घर के पांव में चुभती रही।

सोमा बिस्वास

Image
फूली सोमा बिस्वास गाँव में पंचों की  सभा में फूली के लिए खूब छी –छी हो रहा है | दुनिया के सामने फूली ने गांववालों की  नाक जो कटवा  कर रख दिया था  | फूली ने शहर में किसी बड़े नेता के तमंचे को छीन कर गोली मारकर मार डाला था | टी.वी. पर  खास ख़बर में दिखाया जा  रहा था ये कांड | लॉक-अप  के अन्दर जब लेकर जा रहे थे , फूली के चेहरे  पे   डर-भय जैसा  कुछ भी नहीं था |   ऐसी बेशर्म लड़की को तो हाथ लगने चाहियें पञ्च मिलकर भी उसका तो कुछ नहीं कर पाए थे  | तब   फैसला ये हुआ कि फूली के बदले में उसके माँ-बाप समेत पूरे  परिवार  का हुक्का पानी बंद करवा दें  और गाँव से बाहर कर दें | क्योंकि फूली पहेले भी पति के घर से भागी थी. तब उसके पति ने माफ़ी मांग ली थी  फूली के तरफ से | एकबार गलती माफ़ भी हो जाये पर बार-बार नहीं | ऊपर से किसी के  खून करने  जैसा जुर्म ? इसीलिए  लड़कीजात को तो चूल्हे-चौके  के अन्दर ही बांध कर रखना  चाहिए | शादी से पहेले दो क्लास क्या पढ़   लिया था उसने  शहरवाली दीदी से, खुद को तो कानून की देवी ही समझ लिया था उसने | पूरे  गाँव की महिलओं को भड़काती थी ये बोलकर कि मर्द के बराबर हक़ चाहिए, सम्मान

রুণা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রণব কুমার দে

Image
অব্যক্ত উৎস সন্ধানে রুণা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রণব কুমার দে বিঃদ্রঃ নীচে দেওয়া ছবিগুলো, ক্লিক করে ফুল-স্ক্রিন দেখা যাবে ।  “নদী, তুমি কোথা হইতে আসিয়াছ? নদী উত্তর করিল, মহাদেবের জটা হইতে” ─ ‘অব্যক্ত’ প্রশ্ন করিল ভাগীরথীর উৎস সন্ধানে। জগৎকে সর্ব দিশায় দেখতে পান যে বিজ্ঞানী, তাঁর খোঁজ সেই উৎসের, ঊর্ধমুখী উৎ-লোকের বার্তাবাহক সেই উৎস, যেখানে উত্থিত বস্তু বা বিষয় তার প্রথম স্বরূপ পায় । মানুষের সমস্ত সৃজনই তো উৎ-লোকে উত্তরণ, সমস্ত উচ্চারণ ই উৎ - ক্রিয়া, যা ওপরদিকে ওঠে। এই স্বরূপের সন্ধানেই পাহাড়ু প্রণব কুমার দে এবার চলেছেন নদী নিয়ে তাঁর নিজস্ব জার্নির লক্ষ্যে, মনের উদ্‌লোকে থাকা বিশেষ দিশায় চলেছেন এক স্রষ্টা; সৃষ্টিলোকে নির্মিত হচ্ছে আলোকচিত্র, মনের মণিকোঠার সেই জানালা (‘entrance of knowledge’ দিয়ে আসা আলোয় রচিত হচ্ছে বিষয়বস্তুর জনন সংবাদ, যে জানান দেয় তার স্বরূপ। এই চিত্র বহিরাবয়ব অবলোকনের কথা বলে না, বলে আলোকনের কথা, বস্তুর ওপর অর্জিত জ্ঞানের আলো ফেলে তার অন্তর্নিহিত ক্রিয়ার দর্শন। এ শুধু চোখের চেখে দেখা দর্শন নয়, দর্শন করে স্রষ্টার অক্ষি, যে দ্রষ্টাকে ব্যাপ্ত করে, দর্শনেন্দ্রিয়কে বহির্জগতে