রবিন বিশ্বাস

অনুতাপ

রবিন বিশ্বাস



নাক উচু ভাল্লাগে না

সবাই তো একদিন ছাই হবে

তবে এতো কথা কিসের?


উত্তর তো দিতেই পারতে

তবুও দিলে না

সোনদে নেমে এল  অবেলায়।


একটু দাঁড়ালে এমন কি বা ক্ষতি হতো

সময় পেড়লে অনেক কিছু

এখন বেশ বুঝতে পারি।


একটু না হয় হাতটা ধরতে

তাতে এমন কি আর দোষ হতো

কোন হাত কোন দিন ফাঁকা থাকে না।


পাশাপাশি একটু বসতে পারতে

তাতে না হয় লোকে দু কথা বলতো

কিন্তু এখন  কেউ নেই।


সব কিছু মেনে নেয় কেউ

কেউ মানে না কিছুই

আমি যে কোথায় দাঁড়াই?



কবিতা আর পড়ব না


কবিতা পড়ব না আর -

কবিতা পড়ে নিজেকে  রক্তাক্ত করে আবার সেই পড়ন্ত বিকেলে  মেলে ধরব না ,

শরীরে এখনও সেই সকালের রক্ত ঘাম মিশে আছে

চোখের কনিনীকায়,

এখনও তোমার সেই মূর্তি

সেই অবয়ব সেই উষ্ণতা

তোমাকে আমি আর ভাবব না।


তোমার আমৃত্যু ভালবাসা

আজ কাঁচের টুকরোর মতো আমার  গ্ৰিলের দরজায়

লেগে আছে।

তোমার চাহনিতে যে  মাদকতা ছিল

আজ সে সবই তো ভাসিয়ে নিয়ে গেছো

কোন এক অজানার ব্যানকুনিতে বোসে থেকে।


তোমায় আমি আর ভাববো না-

এই তো সেদিন  তোমার কথা খেতে বসে ভাবতে গিয়ে বিষম খেয়ে মরতে বসে ছিলাম  তখন তুমি হয় তো ঘুমের  গভীরতা মাপ ছিলে কোন স্বপ্ন রাজ্যে ,কে জানে?




অবসাধ


একদিন অন্ধকার নিঃশব্দে নেমে আসবে

শত সহস্র শব্দের এই পূথিবীতে

কেউ আমার পাশে থাকুক আর নাই থাকুক।


কখন যে চলে যেতে হবে কে জানে!

ভোরের সূর্যের আলোর মুখ চেয়ে

বসে আছি, নিস্তব্ধতা সঙ্গে করে।


প্রতিবার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হয় ঘুমের আগে

প্রতিবার প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হই

প্রত্যুষের ঠিক পরেই।


আজকাল কিছুই বুঝিনা

শুধু কান আর চোখ খুলে রাখি

নির্মম সন্ধ্যা বেলায়।


Comments

Popular posts from this blog

অঞ্জলি সেনগুপ্ত

সুকৃতি সিকদার

সম্পাদকীয়